মোঃরেজাউল করিম রঞ্জু,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদেশি জাতের রসালো ও পুষ্টিকর লাল ড্রাগন ফলে ভরে উঠেছে মাঠ।রঙ,গন্ধ,স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় দেশের সব বাজারে কদর এবং চাহিদা রয়েছে ড্রাগন ফলের।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখান গ্রামে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগনের চাষাবাদে মিলেছে সফলতা।স্থানীয় বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজলের পরিপাটি বাগানে লাল ড্রাগন উৎপাদন করে সম্ভবনার দুয়ার খুলেছেন। তার বাগানে প্রতিটি গাছের ডগায় ডগায় দুলছে লাল ড্রাগন ফল। এ অঞ্চলের মাটি, আবহাওয়া ড্রাগন চাষে খুবই উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে ড্রাগন চাষে চমক দেখিয়েছেন তিনি।এছাড়া রোগ-বালাই কম,কম পুজিতে বেশী লাভ হওয়ায় ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে ড্রাগন চাষে আগ্রহী বেড়েছে।
ফার্মের প্রোডাকশন ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২১ সালে আবরার এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৭০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। যশোর থেকে চারা গুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে,এর পর ফল আসা শুরু হয়। রাজধানী ঢাকাসহ স্থানীয় বাজারে প্রথমে ফল বিক্রি করেছেন ১লাখ ৩০হাজার টাকা। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজার মূল্যে ৩’শ থেকে৪’শ টাকা। এ বছর ১০লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান তারা।
কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, বাগান তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। তবে এর সফলতা ২০ বছর পর্যন্ত পাবো। বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫-৩০ কেজি। যা বাগান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা কাজল বাণিজ্যিকভিত্তিতে লাল ড্রাগনের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে ৩০জনের মত কৃষক ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেছেন। শখের বসে হলেও বাগানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হবে, অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। উচ্চ মূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করা হচ্ছে
2022-07-29