ডিমলা নীলফামারীঃ পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতারাসের স্বীকার হয়েছেন ইসলামী ফাউন্ডেশন এর শিক্ষক আমিনুর রহমান।তিনি ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ৭ নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন এর ডালিয়া ৬ নং ওয়ার্ড এর স্থায়ী বাসিন্দা মৃত্য মফিজ উদ্দীন এর ছেলে আমিনুর রহমান।
এ ব্যাপারে একই এলাকার মৃত্যু ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে, আইনুল হক (৫৫) ময়নুল হক(৫০) ও আজিজুল ইসলাম(৪৮) এবং আইনুল হক এর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৯) ময়নুল হক এর ছেলে সোহেল হোসেন (২২) সুজন ইসলাম (২০) জিশান ইসলাম (১৯) ময়নুল এর স্ত্রী বিউটি বেগম (৪৭) আঃ হাই এর ছেলে লিটন, আঃ মাতিন, মোমেনা বেগম স্মামী আব্দুল হাই, মৃত্যু নঙ্গু মাহমুদ এর ছেলে নাসির উদ্দিন ওরফে টন্না গং কে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ কারী আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জমি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসতেছিল। এমতাবস্থায় আমি ভূমিহীন হওয়ায় উপরোক্ত আসামীগন এরা ছিল এ জমির পজেশনের মালিক। অতপর,আমি ওয়ারিশ গনের নিকট এ জমি স্ট্যাম্প মূলে পজেশন নিয়ে বাড়ী স্থাপন করি ও শান্তিতে বসবাস করে আসতেছি। এর কয়েক বছর পর আয়নুল হক গং তাদের হস্তান্তর কৃত জমির উপর মালিকানা দাবি করে আমাকে বাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্রে যাওয়ার কথা বলে, আমি প্রতি উত্তর করায় তারা আমার বাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে মাইরধর করে উল্টো মামলা দেয়
পরে আমিও বাদি হয়ে মামলা করি। মামলা দুটি দীর্ঘ দিন চলার পর বিজ্ঞ আদালতে তা নিস্পত্তি হয়।
এতেই তারা ক্ষান্ত নয় গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ইং আবারো পূর্বের ন্যায় বাড়ী সরানোর হুমকি – ধামকি দিলে আমি বিষয়টি ঐ দিন সকাল আনুমানিক সারে ১১ টার দিকে ৭ নং খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার কে বিচার দিলে, তিনি বিকালে বিচার করার কথা বলেন। এমতাবস্থায় বিকাল ৫ টার সময় আমার সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় টিউবওয়েল স্থাপন করি। এসময় উপরোক্ত বিবাদিগণ দেশীয় অস্ত্র উঁচু করে মার মার শব্দে ফিল্মি স্টাইলে, বাড়ীর টিনসেটের বেরা চোট মেরে নষ্ট করে দেয় এবং ভিতরে প্রবেশ করে গাছপালা কর্তন, ল্যান্টিন ভাংচুর সহ ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। বিছানার ভিতরে রাখা ৩০০০০ টাকা লুটে নেয়, এবং আসবাবপত্র শোকেস ভেঙ্গে ফেলে যার আনুমানিক মূল্য ৭৫০০০ হাজার টাকা। এসময় আমি আমার পরিবার বর্গ হাউমাউ কান্না ও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে প্রতিবেশীগন এগিয়ে আসেন।এর পর ৯৯৯ লাইনে ফোন করি, এসময় ডিমলা থানা পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং আমরা রক্ষা পাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চেয়ারম্যান বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক আইনের উর্দ্ধে অপরাধী বড় নয়। তাদের আইগত সহায়তা নেয়া জরুরি। এ বিষয়ে এলাকারগন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, আজব ব্যাপার।এ জমিতো আমাদের জানা মতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। জমির প্রকৃত মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কোন হস্তক্ষেপ নেই। পজেশন বিক্রি করা জমিতে এসে এ রকম ঘটনা ঘটানো সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। নিঃসন্দেহে এসব কর্মকান্ড সমাজ ব্যবস্থার জন্য ভয়ংকর। শনিবার এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিমলা থানা অফিসার ইন চার্জ লাইছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।